ভারতের সংসদে সরকারপক্ষ এবং বিরোধীদের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে। আজ রাজ্যসভা এবং লোকসভা বারবার মুলতবি হয়েছে, যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে আলোচনা চাওয়া হয়েছে। বিরোধীরা চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ এবং ২০২০ সালের লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে, কিন্তু সরকারপক্ষ এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়নি।
এছাড়া, সরকারপক্ষ বিদেশি চক্রান্তের তত্ত্ব তুলে ধরেছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, কংগ্রেস এবং মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের সংস্থা ভারতের সার্বিক অগ্রগতি রুখতে কাজ করছে। তারা অভিযোগ করেছে যে সোরসের সংস্থা ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে, বিশেষ করে কাশ্মীর বিষয়ে। এই অভিযোগে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সোরসের সম্পর্ককে গুরুতর আখ্যা দিয়েছে সরকার। এছাড়া, বিজেপি দাবি করেছে যে আদানি ঘুষ-কাণ্ডের মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মার্কিন সরকার।
রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের সদস্যরা এই অভিযোগ তুলে ধরতে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন, তবে বিরোধীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য, বিদেশি শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা, যা দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে যুক্ত হতে চায়। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এই বিষয়ে বিজেপির অবস্থানকে 'হতাশজনক' বলে মন্তব্য করেছে, এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার কথা জানিয়েছে।